রাজধানীর শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে ‘গণহত্যার’ অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) হেফাজত ইসলামের ঢাকা মহানগর সভাপতি জুনায়েদ আল হাবিব ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলির কাছে এ অভিযোগ জমা দেন।
পরে হেফাজত ইসলামের নেতারা জানান, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় এ গণহত্যার বিচার তো হয়নি, বরং তাদের সংগঠনের অনেক নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে বছরের পর বছর কারাগারে আটক রেখে নির্যাতন করা হয়েছে।
এখন অন্তবর্তী সরকার এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করবে বলে আশা করছেন তারা।
এ সময় ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটররা জানান, হেফাজতের সামবেশে র্যাব ও পুলিশের হত্যাযজ্ঞের ঘটনা ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন ১৯৭৩’- এর গণহত্যার মধ্যে পড়ে।
উল্লেখ্য, ব্লগারদের শাস্তির দাবিতে ২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর মতিঝিলে সমাবেশ ডাকে সংগঠনটি। সে সমাবেশ ঘিরে পুরো মতিঝিল এলাকায় ব্যাপক সহিংসতা আর তাণ্ডব চলে। পরে সে রাতে যৌথ অভিযান চালিয়ে মতিঝিল থেকে তাদের সরিয়ে দেয়।
এদিকে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন অধিকার জানায়, ২০১৩ সালে অধিকার নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত সেই নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞের একটি তথ্যানুসন্ধান মিশন পরিচালনা করে এবং ৬১ জন নিহত উল্লেখ করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদন প্রকাশের কারণে আওয়ামী লীগ সরকার অধিকার এর তৎকালীন সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খান এবং সংগঠনের বর্তমান পরিচালক এএসএম নাসির উদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে নিবর্তনমূলক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইন, ২০০৬ (সংশোধিত ২০০৯) এর ৫৭ ধারায় মামলা করে।
কারাবাস করা সেই আদিলুর রহমান এখন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা।
Comments