জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের আওতায় গোলযোগপূর্ণ আফ্রিকার দুই দেশ কঙ্গো (ডিআরসি) এবং মালিতে যাবেন বাংলাদেশ পুলিশের ৪৬০ জন সদস্য। তিনটি কন্টিনজেন্টের মাধ্যমে তারা মালি ও কঙ্গোতে গিয়ে আগের কন্টিনজেন্ট প্রতিস্থাপন করবেন। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি তারা মালি ও কঙ্গোর উদ্দেশ্যে রওনা হবেন বলে পুলিশ সদর দফতর সময়ের আলোকে নিশ্চিত করেছে। এরই মধ্যে গত বুধবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে তিনটি প্রজ্ঞাপনে সরকারি আদেশ (জিও) জারি করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব সিরাজাম মুনিরা স্বাক্ষরিত তিনটি প্রজ্ঞাপনের মধ্যে মালিগামী দুটি কন্টিনজেন্টে ১৪০ জন করে ১৮০ জন এবং কঙ্গোগামী কন্টিনজেন্টে ১৮০ জন পুলিশ সদস্য রয়েছে। এরমধ্যে একটি নারী কন্টিনজেন্টও রয়েছে। ওই মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের পুলিশ সুপার পদমর্যাদার তিনজন কর্মকর্তা তিনটি কন্টিনজেন্টের কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সহকারী পুলিশ সুপার, ইন্সপেক্টর, এসআই, সার্জেন্ট, কনস্টেবল ও নায়েক পদমর্যাদার কর্মকর্তারা রয়েছেন। এর বাইরেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনের কয়েকজন চিকিৎসক (মেডিকেল অফিসার) রয়েছেন এই তিনটি কন্টিনজেন্টে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন বিএএনএফপিইউ-১ (রোটেশন-৯) এমআইএনইউএসএমএ, মালি ও ডিআর কঙ্গোতে ৪৬০ কর্মকর্তাকে এক বছরের জন্য প্রেষণে পাঠানো হচ্ছে। এসব পুলিশ সদস্যদের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যাতায়াত খরচসহ যাবতীয় ব্যয়ভার জাতিসংঘ বহন করবে। অন্যান্য শর্ত জাতিসংঘ থেকে পাওয়া নির্দেশাবলীর আলোকে (যদি থাকে) পরে নির্ধারণ করা হবে।
জানা যায়, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বর্তমানে শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী হিসেবে বাংলাদেশ শীর্ষস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর পাশাপাশি বাংলাদেশও শান্তিরক্ষা মিশনে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছে। ১৯৮৯ সাল থেকে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অন্যান্য বাহিনীর পাশাপাশি অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ।
Comments