শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

বিপিএলসিকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বাড়ানোর পরামর্শ বিএসইসির

অনলাইন ডেস্ক
|  ০১ আগস্ট ২০২২, ২৩:০৩

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি) নেতাদের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বাড়ানোর পরামর্শ দিলো বাংলাদেশ সিকিউরটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সোমবার (১ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসির সঙ্গে বিএপিএলসি নেতাদের বৈঠকের এই পরামর্শ দেয় কমিশন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। এ সময় বিএপিএলসির সভাপতি ও এসিআই লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম আনিস উদ দৌলাসহ অন্যান্য নেতারা অংশ নেয়। এতে বিএসইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শেয়ারবাজারে বর্তমানে অনেক শেয়ার অবমূল্যায়িত অবস্থায় রয়েছে। এই অবস্থায় বিএপিএলসি নেতাদের শেয়ারবাজারে সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগের পরামর্শ দিয়েছে বিএসইসি। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে নিয়ম শিথিল করবে বলেও জানিয়েছে কমিশন।

তালিকাভুক্ত প্রত্যেক কোম্পানিকে নিজস্ব পোর্টফোলিও গঠন করে ফান্ডামেন্টাল কোম্পানিতে বিনিয়োগ বাড়াতে, মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানি বাজারে তালিকাভুক্ত করতে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য আহ্বান জানায় কমিশন।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, বর্তমান বাজার পরিস্থিতির উন্নয়নে আজ বিএপিএলসি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএসইসি। শেয়ারবাজারে ভালো সময় পার করছে। এই সময় উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার কেনার সময় যাচ্ছে। তারা ঘোষণা দিয়ে শেয়ার কিনতে পারেন। তবে বছর শেষ হওয়ার দুই মাস আগে থেকে আর্থিক প্রতিবেদন পর্ষদের উপস্থাপনের আগ পর্যন্ত উদ্যোক্তা পরিচালকরা শেয়ার কিনতে পারে না। এই সময়ও যদি কেউ বিনিয়োগ করতে চায় তাহলে কমিশন প্রয়োজনে নিয়ম শিথিল করে দেবে বলে জানিয়েছে। বিষয়টি ইতিবাচক বলে বিবেচনায় নিয়েছে বিএপিএলসি।

তিনি বলেন, বৈঠকের বিএপিএলসি প্রতিনিধি দল বাজারকে সাপোর্ট দিতে ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছে। বাজারের উন্নয়নে যেকোনো ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে কমিশন।

বৈঠকে, বিএপিএলসি জানায়, তারা সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন করে মার্কেট মেকারের লাইসেন্স নিতে চায়। এর মাধ্যমে বাজারে সাপোর্ট দিতে চায় বিএপিএলসি। যা বাজারের জন্য সহায়ক হবে। বিষয়টি ইতিবাচক বলে জানায় কমিশন। বাজারের উন্নয়নে যেকোনো ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন কমিশন।

এ ছাড়া ভালো মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানির শেয়ার এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম বাড়ানোর জন্য জোর দিয়েছে বিএপিএসসি। সংগঠনটি প্রতি প্রান্তিকে ওয়ার্কশপ ও সেমিনারের আয়োজন করবে। যেখানে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের জন্য উদ্বুদ্ধ করা হবে। যাতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সঠিক নিয়ম মেনে বিনিযোগ করতে পারে।

বাংলাদেশে অনেক কোম্পানির পরিচালক আছে যারা অন্য কোম্পানির সঙ্গেও আছে। সেখান থেকে ভালো কোম্পানিকে কীভাবে বাজারে তালিকাভুক্ত করা যায়, সেই ব্যাপারে কমিশন গুরুত্বারোপ করেছে। বিষয়টিকে বিএপিএলসি ইতিবাচকভাবে দেখছে বলে কমিশনকে জানিয়েছে।

তালিকাভুক্ত কোম্পানির কম্পায়েন্স, ফাইন্যান্সিয়াল পারফরেমেন্সের উপর ভিত্তি করে, ডিভিডেন্ড ডিক্লারেশন সহ অন্যান্য বিষয়ের উপর ভিত্তি করে মার্কেট ইন্টারমিডিয়ারির জন্য পুরস্কারের জন্য ব্যবস্থা করা যায় কি-না এ বিষয়ে বিএপিএলসি গুরুত্বারোপ করে। কমিশন এ বিষয়ে পরবর্তীতে পদক্ষেপ নেবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। এছাড়া বিপিএলসি, মিডিয়ারসহ নানাভাবে মার্কেটের পজেটিভ ব্যান্ডিং করার জন্য কাজ করতে হবে। আগামীতে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।