নিয়ন্ত্রণহীন সবজি ও মাছ-মাংসের দাম

বাজারে সবজির দাম আকাশছোঁয়া। ক্রেতারা বলছেন, বাজারে কোনো পণ্যের দামে নিয়ন্ত্রণ নেই। ব্যবসায়ীরা নিজেদের ইচ্ছে মতো যখন ইচ্ছে দাম বাড়িয়ে নিচ্ছে। অন্যদিকে বিক্রেতারা জানান, বাজারে এখনও পর্যাপ্ত সবজি আসেনি, যে কারণে দামও তুলনামূলক বেশি। তবে শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে এই দাম কমে আসবে।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বাড্ডা, রামপুরা এলাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র পাওয়া যায়।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি শিম ২০০ টাকা, চায়না গাজর ১৪০ টাকা, মূলা ৬০-৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম ৬০ টাকা। এ ছাড়া প্রতি কেজি গোল বেগুন ১০০ টাকা, লম্বা বেগুন ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, কচুরমুখি ৯০ টাকা এবং কচুর লতি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। প্রতি পিস জালি কুমড়া (চাল কুমড়া) ৬০ টাকা ও লাউ ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজার করতে আসা আব্দুর রশীদ বলেন, আজকের বাজারে সবকিছুরই দাম বেশি মনে হচ্ছে। মূলার কেজি ৬০ টাকা, যা সাধারণত ৩০/৪০ টাকার মধ্যেই থাকে। এ ছাড়া ঢেঁড়শের কেজিও ৬০ টাকা, গত দুইদিন আগেও ছিল ৪০ টাকা।
তিনি বলেন, বাজারে কোনো পণ্যের দামে নিয়ন্ত্রণ নেই। ব্যবসায়ীরা নিজেদের ইচ্ছে মতো যখন ইচ্ছে দাম বাড়িয়ে নিচ্ছে। আমি মনে করি এটা সরকারের বড় ব্যর্থতা। বাজারে শিম এসেছে আরও দুই সপ্তাহ আগে, তারপরও দাম এখন ২০০ টাকা কেজি।
সবজির দাম প্রসঙ্গে রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা হাবিবুর রহমান বলেন, শীতের সবজি বাজারে এলেও চাহিদা অনুপাতে পরিমাণ খুবই কম। আমরাও চাহিদা মতো আড়ত থেকে কিনতে পারছি না। যে কারণে বাধ্য হয়েই একটু বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।