প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে। বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে বাংলাদেশে অনেক এগিয়েছে।’
রবিবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ৬০ বছর পূর্তি উদযাপন ও ইনভেস্টমেন্ট এক্সপো-২০২৩- এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে, বেসরকারি বিনিয়োগ উৎসাহিত করেছে এবং বিদেশি বিনিয়োগ আসার সুযোগ করে দিয়েছে। সে কারণে দেশ আজ অনেক এগিয়ে গেছে। কোভিড, ইউক্রেন যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা-পালটা নিষেধাজ্ঞা না হলে আমাদের অর্থনীতিকে আরও অনেক দূর এগিয়ে নিতে পারতাম।’
বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতিকে সবচেয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। গত ১৫ বছরে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য খাতের উন্নয়নে বিভিন্নমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে বেসরকারি খাত আরো শক্তিশালী ও বিকশিত হয়েছে। বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রফতানিকারক দেশ। আশা করা হচ্ছে, ২০৩৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২০তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ, ২০৪১ সালে হবে স্মার্ট বাংলাদেশ, উন্নত বাংলাদেশ।
তিনি আরো বলেন, ‘অনেক আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ থাকলেও আমরা এসডিজি বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। দেশের এই অভাবনীয় প্রবৃদ্ধির নেতৃত্বে রয়েছে আমাদের বেসরকারি খাত। আইন দ্বারা বিদেশি বিনিয়োগ সুরক্ষাসহ বিনিয়োগ নীতিকে আরও সহজ করার বিভিন্ন পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি, এটা অব্যাহত থাকবে।’
কৌশলগত ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ ৩০০ কোটি মানুষের আঞ্চলিক বাজারের কেন্দ্রস্থল হতে পারে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ব্লু ইকোনমি খাতে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে আমরা নতুন পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। ২০২৫ সালের মধ্যে শুধু লজিস্টিকস খাতই ৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজারে পরিণত হবে বাংলাদেশ। ২০৩০ সালের মধ্যে ৯ম বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে পরিণত হবে এ দেশ। সে সময় যুক্তরাজ্য এবং জার্মানির মতো প্রতিষ্ঠিত বাজারগুলো এবং বর্তমান উচ্চ-প্রবৃদ্ধির ভিয়েতনাম এবং থাইল্যান্ডকে যাতে বাংলাদেশ ছাড়িয়ে যেতে পারে, সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আসুন সব প্রতিকূলতা অতিক্রম করে আমরা আরও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাই। আমাদের প্রচেষ্টা আরও জোরদার করি। বিজয়ী জাতি হিসেবে বাংলাদেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়তে চাই। স্মার্ট উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি। একজন মানুষও এদেশে দরিদ্র থাকবে না। প্রতিটি মানুষ উন্নত জীবন পাবে।’
Comments